সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০৩:২০ পিএম
স্রোতের তীব্রতা কমে আসলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার(৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মাওয়া রুটে পানি প্রবাহ কমে আসতে পারে। তখন আবার ফেরি চলাচল চালু করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘মাওয়ায় এখনও ফোর নট কারেন্ট (৪ নটিক্যাল মাইল বেগে স্রোত) চলছে, এর নিচে এলে তখন এটা আমরা চালু করব। এখন পানির প্রবাহ বাড়ছে। আজকেও খবর নিয়েছি অতিরিক্ত পানির প্রবাহ আছে।’
মাওয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ায় অসুবিধা নেই, কিন্তু ফেরাটা খুব সমস্যা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঝুঁকিটা আমরা নিতে চাচ্ছি না স্রোতের মধ্যে। গত বছর যখন ফেরিগুলো চলেছে তখন স্প্যানগুলো বসানো ছিল না। এখন একটা সুনির্দিষ্ট পকেটের মধ্য দিয়ে ফেরিগুলো চালাতে হয়। কারণ সব স্প্যান বসে গেছে, পদ্মা সেতু অলমোস্ট রেডি আছে বলা যায়। এমন অবস্থায় যখন ঘূর্ণায়নগুলো যখন শুরু হয় তখন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে যায়।’
নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে বেশ কয়েকটি ফেরির ধাক্কা বিষয়ে সাংবাদিকদের ওপর এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন,‘যেহেতু কয়েকটা ঘটনা ঘটে গেছে। এই ঘটনাগুলোর কারণে আমরা যতটুকু তাদের উদাসীনতা ও কর্তব্যে অবহেলা ছিল সেজন্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। এ ঘটনাগুলো ঘটার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আর আতঙ্কের মধ্যে রাখতে চাই না।’
গত ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।