সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ১০:২৮ পিএম
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বিপাকে পরেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যেই আবারও মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এবার একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার সিলেটে লাক্কাতুরা চা বাগানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাময়িক বাহিনীর দ্বারায় নির্যাতি হয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সব মিলে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু জীবন কাটাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও পাঁচ বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবারও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পায়তারা করছে। মিয়ানমার গোলাবর্ষণের মাধ্যমে যত উসকানিই দিক না কেন সীমান্ত দিয়ে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। সীমান্তে বিজিবি শক্ত অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বর্ডার সিল করেছি। মিয়ানমারের লোক আমাদের দিকে যাতে না আসতে পারে সে জন্য বিজিবিকে সতর্ক করেছি।
এদিকে আবারও মিয়ানমারের গোলা বাংলাদশ সীমান্তে পরেছে। দ্বিতীয় দফায় শনিবার মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা অবজার্ভ করছি। মিয়ানমারের ওখানে কিছু ভায়োলেন্স হচ্ছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলা বর্ষণের ঘটনায় রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আবারও মিয়ানময়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা।