গাসিক নির্বাচন

এবার নৌকার চেয়ে এগিয়ে গেল ঘড়ির ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৬, ২০২৩, ১২:৩০ এএম

এবার নৌকার চেয়ে এগিয়ে গেল ঘড়ির ভোট

দেশের শক্তিশালী বিরোধী দল বিএনপির অনুপস্থিতিতেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জমে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়রের পক্ষের প্রার্থীর মধ্যে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতে যাবেন নাকি দল থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক মেয়রের মা জয় পাবেন— এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে। এই সিটির ভোটের ফলাফলের দিকে এখন চোখ সারা দেশের মানুষের। মূহুর্তে মূহুতে ভোটের হিসাবের পেণ্ডুলাম একেক দিকে দুলছে। নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ৪৮০টি। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৫০ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪১৩ ভোট।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।

ভোটদান শেষে আজমত উল্লা বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

তিনি আরও বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে মানুষ ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং একটি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। আজ জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

সকাল ১০টার পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন। তিনি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। ভোটদানের সময় জাহাঙ্গীর আলমও তাঁর সাথে ভোট দেন।

ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো, সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।

Link copied!