কক্সবাজারে বন্যা পাহাড়ধসে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে টেকনাফে একই পরিবারের পাঁচ জন ও মহেশখালীতে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে উখিয়া ও ঈদগাঁওতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার পার্শ্ববর্তী পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে মারা গেছেন দুই জন। গত দুই দিনে ছয় রোহিঙ্গাসহ সর্বমোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সদর, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ২০টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রাম।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। টানা ভারি বর্ষণে জেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫১ হাজার ১৫০টি পরিবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া, বাদশাঘোনা, রাডার স্টেশন ও সার্কিট হাউজের পাহাড়ের নিচের এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতা অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা পর্যায়েও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।’
এদিকে, কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণে পৃথক পাহাড়ধস ও পানিতে ডুবে মারা গেছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে টেকনাফের একই পরিবারের পাঁচ জন রয়েছেন।