মে ৮, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম
রবীন্দ্রনাথ শুধু একজন কবি নন, তিনি সকল ক্ষেত্রে পথ দেখানো একজন মহাপুরুষ। সবদিকে তার বিচরণ আছে। এটা দু:খজনক যে, রবীন্দ্রনাথকে আমরা অনুসরণ করি নাই। তাঁর সাহিত্যের উর্বরতার জায়গায় যেতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। আমরা রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করতে পারলে আরো মানসম্মত জাতিতে পরিণত হতাম। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরস্হ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডকে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা সাধারণ হত্যাকান্ড হিসাবে দেখেন; আসলে এটি সাধারণ হত্যাকান্ড নয়। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথকে বিকশিত হতে দেননি। আমাদের হৃদয়ের মধ্যে চিন্তাভাবনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করার পথটি তারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্র গবেষকদের নির্যাতন করা হয়েছিল; তাদের সময়ে রবীন্দ্র গবেষণা তেমনভাবে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্র গবেষণার ব্যবস্থা করেছেন। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াদের সময়ে রবীন্দ্র মেলার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বাজেট ছিলনা; তাদের বাজেট ছিল হাউজি খেলা ও নাচের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। জাপানের এক গবেষণায় জানা গেছে- করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা লাভের সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শামীম খান, সাবেক সংসদ সদস্য ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আজাদ রহমান, শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার নৌপথ এবং নদীবন্দরগুলোর আরো উন্নয়ন করা হবে। বাঘাবাড়ি নৌপথটিকে এক নম্বর রুটে উন্নীত করা হবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে ঘিরে এখানকার নৌপথের উন্নয়ন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী ফিতা কেটে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।