তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দী ৫ সহস্রাধিক পরিবার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দী ৫ সহস্রাধিক পরিবার

উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা। এতে পানিবন্দী হয়েছে নীলফামারীর পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বানের পানি।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুরে পানিপ্রবাহ কিছুটা কমলেও বিকেলে আবারও বৃদ্ধি পায়। বিকেল ৩টায় ১৭ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যায় ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলাসহ জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডিমলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া আছে। তালিকা পাওয়া মাত্র ত্রাণ বিতরণ করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতীফ খান জানান, তার ইউনিয়নের দুটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি গত দুদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার সকালে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্তক রয়েছেন। তবে দুপুরের পর পানি কমতে থাকে। দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকালে আরও পানি কমতে পারে বলে পাউবো সূত্রে জানিয়েছে।

Link copied!