সাগর-রুনি হত্যা মামলা পেশাদারিত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। এমন দাবি করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, এ মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৬০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শীঘ্রই মামলাটির বিষয়ে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনি ধরা পড়বে। সেই ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে ১০ বছর হয়ে গেল। এ ঘটনার এখনো কোনো কূলকিনারা হলো না। ১০ বছরেও শেষ হলো না সেই ৪৮ ঘণ্টা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্ণ হলো। ১০ বছর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির মরদেহ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন মহলের আশ্বাস ছিল, যত দ্রুতসম্ভব এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। বিচার নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু ১০ বছর পেরিয়ে এসেও বলতে গেলে এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি কিছুই হয়নি।
১০ বছরে এখন পর্যন্ত ৮৫ বার সময় নিয়েও সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাব। এই সময়ে পাঁচ বার বদল করা হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা।
সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। ওই দিনও মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন আরেকটি তারিখ ঠিক করে দেন।