একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিস ডাকা ও সেখানে বিপক্ষে রায় দেওয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ময়মনসিংহ মহানগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পারভেজ (৩০)। হত্যাকাণ্ডটি ঘটান স্থানীয় যুবক দিলিপ ও তার সহযোগীরা। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ শনিবার (২ জুলাই) এসব তথ্য জানান। দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ওসি জানান, গত পরশু (বৃহস্পতিবার) কোনো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ বাধে দিলিপ ও তার সহযোগীদের মধ্যে। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য সামাজিকভাবে সালিস করেন যুবলীগ নেতা পারভেজ। ঘটনাটি কী ছিল, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে না পারলেও ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো বে-ফাঁস মন্তব্য নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়েছিলেন দিলিপ।
যুবলীগ নেতা পারভেজ মহানগরীর সাবেক ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি ২৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হন।
ওসি কামাল আকন্দ বলেন, ওই সালিসের রায় দিলিপ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে যায়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়। শুক্রবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় দিলিপ ও তার সহযোগীরা পারভেজকে আটকায়। তাকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর আহত অবস্থায় পারভেজকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার এ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে জড়িতরা পলাতক। তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দ্রুতই খুনিরা ধরা পড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।