নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। যার ফলে জনসাধারণের খেয়ে পরে বেচে থাকাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় নেই কোনো সঞ্চয়। আগে কিছু টাকা সঞ্চয় করা গেলেও গত দুই-তিন বছর সেটা যেন একপ্রকার অসম্ভবে পরিণত হয়েছে।
আব্দুল আলম খোকন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের এখন সেভিংস বলে কিছু নেই। সেভিংস হবে কীভাবে আগে ১৫ হাজার টাকার দিয়ে যেই বাজার করতাম সেটা এখন করতে গেলে ৩০ হাজার লাগে। সেভিংস যেটা করতাম সেটি বাজারেই লাগে। আমার অল্প কিছু সেভিংস ছিল যেটা এখন আর নেই। এখন শুধু রোজকার করি আর খাই।”
রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, “সংসারে খরচ বেশি। আগে অল্পস্বল্প জমা থাকত কিন্তু এখন সব কিছুর দাম বেশি। ইনকাম করি ৫০০ খরচ হয় ৬০০ বাকি ১০০ টাকা ঋণ করি।”
বাজেট বৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে শহিদুল বলেন, “বাজেট বাড়লেই কি কমলেই কি। আমরা গরিব মানুষ কর্ম করেই খেতে হবে।”
আরেক ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, “খেয়েই তো বাচতে পারি না জমাবো কি। এখন যেই ইনকাম আর যেই দাম এখন খেয়ে বাচতেই কষ্ট হয়ে যায়। আগে লিচু কিনতাম ১০০-১৫০ দিয়ে এখন ৪০০-৫০০ টাকা। আমের দাম ১৫০ টাকা।ছেলে মেয়েকে কিছুই খাওয়াতে পারিনা এই টাকায়।”
চাকরিজীবী মাসুদ আহম্মেদ জানান, “আগে ভালো থাকতাম কিন্তু এখন টানাপোড়নের মধ্যে টেনেটুনে চলে যায়। চাকরিজীবীদের নির্ধারিত বেতনের মধ্যে টাকা-পয়সা জমানো সম্ভব না বিশেষ করে অল্প বেতনে যারা চাকুরী করে।”