বেটা
বিশ্বব্যাংক বলেছে জ্বালানী সংকটে বড় ধরনের চাপে রয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশে সরকার কয়েক মাস ধরে আমদানি কমাতে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। ফলে জ্বালানী ও কাঁচামাল সংকটে দেশের শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবা এ দুই খাতেই চাপ তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের উন্নতি হয়েছে তবে পরিবারের প্রকৃত উপার্জন এখনো মহামারির আগের পর্যায়ে যেতে পারেনি।
তবে বিশ্বব্যাংক সর্বশেষ এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে আগের পূর্বাভাসই বহাল রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় গত জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো আমদানি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করা।
এদিকে, গত জানুয়ারি মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অপর এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দেয় চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এ পূর্বাভাস কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিলো।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই পূর্বাভাস বহাল রাখা হয়। তবে সরকার চলতি ও আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলা হয় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত যাওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশসহ নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে এখন আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ কারণে এসব দেশে আমদানি নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হচ্ছে।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
-20241110125436.jpg)
