সিভির বাইরেও যে যোগ্যতা চাকরিপ্রার্থীর থাকা চাই

ক্যারিয়ার ডেস্ক

জুলাই ১১, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

সিভির বাইরেও যে যোগ্যতা চাকরিপ্রার্থীর থাকা চাই

সিভির বাইরেও চাকরিপ্রার্থীকে নানা গুণ ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। ছবি: সংগৃহীত

চাকরি পেতে এক প্রার্থী কতই না পরিশ্রম করেন। খাটাখাটুনি করেন। তৈরি করেন বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত। তারপরও ধরা দেয় না সোনার হরিন। কিন্তু পছন্দের চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু যথাযথ একটি জীবনবৃত্তান্তই কি যথেষ্ট? নিয়োগপ্রার্থীরা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা। যোগ্য প্রার্থী মূল্যায়নের জন্য নিয়োগকারীরা অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতিও নজর দেন। প্রায় সব ধরনের চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে চাকুরিদাতা প্রার্থীর ‍‍`সফট স্কিলের‍‍` প্রতি বেশি আগ্রহী থাকেন।

কী সেই সফট স্কিল? মানুষের এমন কিছু চারিত্রিক ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য, যা অন্যের সাথে ভালোভাবে কাজ করতে শেখায়, এই দক্ষতাগুলো মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে, আস্থা বাড়াতে এবং দলগতভাবে কাজ করতে দারুণভাবে সাহায্য করে, এগুলোই সফট স্কিল। এই গুণ ও দক্ষতাগুলোকে দারুণ পজিটিভলি দেখেন নিয়োগকারীরা।

এরকম অত্যাবশ্যকীয় ৯টি সফট স্কিল নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

এক. যোগাযোগ দক্ষতা

এটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি গুণ। কর্মক্ষেত্রে আইডিয়া বিনিময়, অন্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করার জন্য আপনাকে যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। যোগাযোগ দক্ষতা ছাড়া আপনি টিমে অচল একজন।

দুই. পারস্পরিক সহযোগিতা

টিমে দলগতভাবে কাজ করার সময় কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ রাখার জন্য কর্মীদের মাঝে একে অপরকে সাহায্য করার মনোভাব থাকতে হয়। এটি টিমের কাজকে যেভাবে এগিয়ে নেয়, উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব রাখে।

তিন. মানিয়ে চলা বা অভিযোজন ক্ষমতা

যে কোনো কর্মক্ষেত্রে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এটি চিরন্তন একটি বিষয়। একজন ব্যক্তি কতটুকু সেই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলতে পারে তা গুরুত্বপূর্ণ একটি দক্ষতা। এ ছাড়া নিত্যনতুন প্রযুক্তি আপনি কেমন ব্যবহার করতে পারছেন, তা-ও একটি বিবেচ্য বিষয়।

চার. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা

কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে সেটির প্রতি আপনার চিন্তা ভাবনা, উদ্ভাবনী সমাধান আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করবে। যারা সমস্যা সমাধানে দক্ষ, তারা কোম্পানির জন্য মূল্যবান সম্পদ।

পাঁচ. সময় ব্যবস্থাপনা

কর্ম সম্পাদন, ডেডলাইন, কাজের চাপকে আপনি কীভাবে সামলাচ্ছেন— সেটিও আপনার অন্যতম একটি দক্ষতা। যারা সময় ব্যবস্থানায় সচেতন, তাদের কাছে কাজ অসমাপ্ত থাকে না।

ছয়. আবেগকেন্দ্রীক বুদ্ধিমত্তা

যে কোনো অনাহুত পরিস্থিতিতে কর্মীর তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা সমস্যা সামাল দিতে সহায়ক হয়। কর্মীর আত্মসচেতনতা, ইতিবাচক মনোভাব, অন্য কলিগদের সহমর্মিতা অর্জন করা কর্মক্ষেত্রে আবেগি বুদ্ধিমত্তা আপনাকে সফলতা এনে দেবে। পেশাজগতে এ কালে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা আবেগকেন্দ্রিক বুদ্ধিমত্তা শব্দযুগল বেশ ব্যবহৃত হয়। নিজের ও অন্যের আবেগগুলো জানা, বোঝা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখা ও পরিস্থিতি বুঝে অন্যের সামনে বুদ্ধিমত্তার সাথে আবেগ প্রকাশ করাই হলো আবেগকেন্দ্রিক বুদ্ধিমত্তা।

সাত. দ্বন্দ্ব মেটানো

কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ বিষয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। তবে সেসব দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সমাধান করার গুণ কর্মীকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। এতে করে কর্মক্ষেত্রেও ঐক্যও অটুট থাকে।

আট. সৃজনশীলতা

সৃজনশীলতা একটি বিরল গুণ। কর্মীকে চিন্তা করতে হবে, তবেই সেই চিন্তায় থাকতে হবে ভিন্নতা। কাজে থাকতে হবে নতুনত্ব।

ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধান করতে হবে ভিন্নভাবে।

নয়. নেতৃত্ব

আপনি নেতা না-ও হতে পারেন। তবে আপনার মাঝে অন্যকে অনুপ্রেরণা দেওয়া, উৎসাহিত করা, গাইড করার মতো নেতৃত্ব গুণ থাকতে হবে।
সূত্র : স্কিল টাইপস

Link copied!