জুলাই ১৫, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই অভ্যুত্থানের ১৪ জুলাই নারীদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাইয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধকে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
তিনি বলেছেন, “আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ যে, জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা যে অবদান রেখেছে তা অসামান্য। তাদের সে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৪ জুলাইকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাইয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধকে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করছি।
“এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে যুক্ত হবে। আর আমরা প্রতিবছর এ দিনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব।”
‘জুলাই উইমেনস ডে’ উপলক্ষে সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অবদান অতুলনীয়। আমরা তাদের অবদানকে আজ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।”
গত বছরের ১৪ জুলাই স্মরণে এদিন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলগুলো, বিশেষ করে বেগম রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল থেকে মেয়েরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সেই রাতের মত এদিনও তারা ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’–ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি সংগীত পরিবেশন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ১৪ জুলাইয়ের সেই স্লোগানগুলো দিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
‘জুলাই উইমেনস ডে’ উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।