ছাত্ররা থাকবে ক্লাসরুমে, সচিবালয়ে ওদের কাজ কী, প্রশ্ন রিজভীর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম

ছাত্ররা থাকবে ক্লাসরুমে, সচিবালয়ে ওদের কাজ কী, প্রশ্ন রিজভীর

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ছাত্ররা থাকবে পাঠকক্ষে, ক্লাসরুমে। সচিবালয়ে ওদের কাজ কী? ডিসি অফিসে কাজ কী? এসপি অফিসে কাজ কী? সিভিল সার্জন অফিসে কাজ কী? এভাবে আইনের শাসন কায়েম করবেন কী করে।’

তরুণ উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের কী অভিজ্ঞতা আছে? তারপরেও আপনাদের আমরা মেনে নিয়েছি। ড. ইউনূস সরকারকে আমরা প্রত্যেকেই সমর্থন করেছি। কিন্তু তরুণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। তারা অনেক কথা বলেন, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপারে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। যদিও আমাদের এখনও সরকারের প্রতি গভীর আস্থা রয়েছে।’

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই দুপুরে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষে থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রিজভী বলেন, ‘দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনূস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেন না এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১৬ বছর আমরা লড়াই করেছি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে গরু, বাছুর বা দিনের ভোট রাতে হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যুক্ত বিবৃতি এল, সবার মনে আশাবাদ জাগল, রোজার আগেই নির্বাচন হবে। এরপরেও নানা ধরনের কথাবার্তা। পিআর পদ্ধতি নিয়ে হঠাৎ করে আলোচনা শুরু হলো। জটিলতা তৈরির জন্য তারা এটা করলেন।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ধবংসস্তূপের ওপর গণতন্ত্রের সৌধ নির্মাণের জন্য অনেক সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা ড. ইউনূসের সরকারকে সবাই সমর্থন জানাচ্ছি। মোটা চালের দাম প্রতি সপ্তাহে ২-৫ টাকা বাড়ছে, তারপরেও সমর্থন দিচ্ছি।’  

রিজভী বলেন, ‘মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার তারেক রহমানকে নির্যাতন করেছে, তাকে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। রাজধানী থেকে গ্রাম প্রত্যেকটি জায়গায় তার কণ্ঠের আওয়াজ মানুষ শুনেছে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলকে সংগঠিত করেছেন তারেক রহমান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শামিল হতে বলেছেন। তিনি গণতন্ত্রের ধ্রুবতারা। তারেক রহমানকে নিয়ে অপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের অনেক কিছুই এসে পড়বে।’  

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা, আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন প্রমুখ।

Link copied!