প্রভাবশালীদের পেটেই ৭৭ নদীর বালু!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০২:২২ এএম

প্রভাবশালীদের পেটেই ৭৭ নদীর বালু!

সংগৃহীত ছবি

দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রচলিত আইনের তোয়াক্কাই করছেন না তারা। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি দেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র বিপর্যস্ত হচ্ছে। 

‘বাংলাদেশে বালু উত্তোলন মানচিত্র-২০২৩’ শিরোনামে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭৭টি নদীর ১৩২টি পয়েন্ট থেকে ২৬৫ ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এ ২৬৫ জনের মধ্যে অন্তত ৫৪ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি মূলত জলজ সম্পদের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

বালু উত্তোলনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানগুলো ‍‍`বালুমহাল‍‍` নামে পরিচিত। দেশে এরকম বালুমহাল রয়েছে ৭০৭টি। যার মধ্যে ৩৮২টি বালুমহাল বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা বালু নদী থেকে সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

১৩২টি অবৈধ বালু উত্তোলন কেন্দ্রের মধ্যে পদ্মায় ২০টি, যমুনায় ১৩টি, মেঘনায় ১২টি, ব্রহ্মপুত্রে ছয়টি, সুরমা ও পিয়াইন নদীতে পাঁচটি, তিস্তায় চারটে এবং সাঙ্গু ও ইছামতিতে তিনটি করে কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো দেশের অন্যান্য নদীতে অবস্থিত।

গবেষণাটিতে আরও বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের অন্তত সাতটি কেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজাজ বলেন ‍‍`বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আমরা মূলত নদী এবং নদীর সম্পদ, বিশেষ করে পানি এবং মাছের ওপর নির্ভরশীল। বালু উত্তোলন নদীর ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে, নদীগুলোর বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে’।

২০১৬ সালে বালুমহালের সংখ্যা ছিল ৭৩৩টি। ২০১৭-১৮ সালে সেটা ৭০৭টিতে নেমে আসে। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৮২টি বালুমহাল ড্রেজিং ও বালু উত্তোলনের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। যেটা মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১০ সালে একটি আইন করে। যা জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে সংশোধন করে ‍‍`বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন-২০২৩‍‍` নামকরণ করা হয়।

Link copied!