প্রাইভেট কার ব্যবহার সীমিত করার আহ্বান জানালেন পরিবেশবাদীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম

প্রাইভেট কার ব্যবহার সীমিত করার আহ্বান জানালেন পরিবেশবাদীরা

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

যানজট নিরসন, সময় ও জ্বালানী অপচয়ের মত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে প্রাইভেট কারের (ব্যক্তিগত গাড়ি) ব‌্যবহার সীমিত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব প্রাইভেট কার মুক্ত দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ এর মোড় থেকে আবাহনী খেলার মাঠ পর্যন্ত আয়োজিত “স্বল্প দূরত্বে হেঁটে ও সাইকেলে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি পরিহার করি” শীর্ষক র‌্যালিতে বক্তারা এ কথা বলেন। 

বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রায় ৪০০০ শহরে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করে। 

সংগঠনটির পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ১৩,৮৬৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ শতাংশ রাস্তা ২০ ফুটের বেশি চওড়া। অপ্রশস্ত সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সময় নিয়ন্ত্রিত করা বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, এবং সপ্তাহে একদিন সমগ্র শহর ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ঢাকা শহরে ৫-৭ শতাংশ মানুষের প্রাইভেট গাড়ি আছে। তাতেই যানজট এমন অবস্থা ধারণ করেছে যে গাড়ির গতি হাঁটার গড় গতির নিচে নেমে গেছে। ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বাস সার্ভিস উন্নয়ন এবং হেঁটে যাতায়াতের সুষ্ঠুু পরিবেশ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে প্রাইভেট কার ঢাকা শহরে রয়েছে। ফলে যানজট, দূষণসহ বিভিন্ন সমস্যাও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলেছে। যথাযথ নগর পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাইভেট কার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। সেই সাথে পরিকল্পনাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে গাড়িমুক্ত রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের প্রভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দেশে বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ এবং যান্ত্রিক যানের নিয়ন্ত্রণহীন সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

Link copied!