সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০৩:১০ এএম
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই ভবিষ্যৎ প্রভাব মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এক সঙ্গে কাজ করবে, এমন আহ্বানের মধ্যদিয়ে শেষ হলো প্রথমবারের মতো আয়োজিত আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এ সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। সম্মেলন শুরু হয়েছিল গত ৮ সেপ্টেম্বর।
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এর যৌথ আয়োজনে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এমপি।
এনামুল হক শামীম বলেন, এই ধরনের আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আগামীতেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজা।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ইউএনডিপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পাশে সবসময় আছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলা সম্ভব।’
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভূটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকগণ, কর্পোরেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগী দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
তিনদিনের এই আঞ্চলিক সম্মেলনে ৪টি থিমেটিক সেগমেন্ট ও ১৯টি সেশনে আলোচক (প্যানেলিস্ট) হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ১২০ জন। পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি এতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ।
বিভিন্ন সেশনের লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে ছিল এ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি, শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউএসএআইডি।
কো-লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে ছিল- এএফডি- ফ্রান্স এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ।
গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল- কোকা-কোলা ও গ্রামীণফোন।
সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক ও সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার হিসেবে ইউনিলিভার।