রাঙামাটি জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার সাথে ছয়টি উপজেলার লঞ্চ, বোট ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
চলমান বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি এড়াতে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য শহরে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা রয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও সেখানে যাচ্ছেন না বসবাসকারীরা।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নিদের্শনা অনুযায়ী, জেলার সব লঞ্চ, বোট ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটক ভ্রমণকারী ছোট ছোট বোটগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, রাঙামাটি জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযান নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলার সাথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি।
পর্যটন ঘাটের টুরিস্ট বোট ইজারাদার মো. রমজান আলী জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় বোট চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আমরাও বোট চলাচল বন্ধ রেখেছি। তবে যে সব পর্যটক এসেছেন, এ নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা হ্রদে ঘুরতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭.২২ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত ৪৮ ঘণ্টায় যার পরিমাণ ছিল ১৭১ মিলিমিটার।