ভ্যাঁপসা গরমে যে কারণে কফি খাওয়ার ঝুঁকি নেবেন না

সম্পা আক্তার

এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০২:২৪ এএম

ভ্যাঁপসা গরমে যে কারণে কফি খাওয়ার ঝুঁকি নেবেন না

প্রতীকী ছবি

চা, কফি খেতে কে না ভালোবাসে? আমাদের প্রাণবন্ত করতে পারে বলেই চা কফির প্রতি এই দুর্বলতা। চা বা কফি, এই দুটো পানীয়ই শরীর উষ্ণ করে। তাই এই কাঠফাঁটা গরমে জীবন যখন অতিষ্ঠ তখন এই উষ্ণতা আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন কি? এছাড়া চা ও কফির মধ্যে গরমের সময় কোনটি খাওয়া উপকারী বা ক্ষতিকর এই নিয়েও অনেকেরই প্রশ্ন আছে।

চলুন জেনে আসি, চা নাকি কফি- এই গরমে আপনার কোনটি খাওয়া উচিত-

আরও পড়ুন: গরমে শিশুকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ে ক্যাফেইন নেই। লাল চা, গ্রিন-টি বা ব্ল্যাক-টি পান করলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরকে সামান্য হলেও এসব হাইড্রেট করে। এছাড়া শরীরে বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। গ্রীষ্মে গরম চা খেলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠাণ্ডা হয়। এটি শুধু শরীরকে রিল্যাক্স করে না, হজমের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি তা শরীরকে হাইড্রেট করার জন্যও উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে গরম চা যেমন ঠিকঠাক, তেমনই আবার ঠাণ্ডা চা-ও মন্দ নয়। বিশেষত আইসড গ্রিন টি-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে না বলে এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে কফি ক্যাফেইনের চাহিদা পূরণ করে শরীর চাঙা রাখে। যা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে ফেলে। কফি খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, টাইপ-টু ডায়াবেটিসের (বহুমূত্র বা মধুমেয়) ঝুঁকি কমায় ও আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া হতাশা কমাতে ও মননশীল দক্ষতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই কফি।

প্রতিদিন কতটা কফি খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখতে হবে। অফিস, বাসা, বন্ধুদের আড্ডা সব মিলিয়ে দিনে অনেকটা কফি খেয়ে ফেলা এই গরমে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত কফি খাওয়ার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। বিশেষ করে যাদের অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন সমস্যা রয়েছে তাদের কফি না খাওয়াই শ্রেয়। কারণ এই পানীয়টিতে উপস্থিত ক্যাফিন হঠাৎ করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া যাদের অনিদ্রার সমস্যা আছে তাদেরও কফি খাওয়া ঠিক নয়। এতে উপস্থিত কিছু উপাদান সরাসরি ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়। এমনকি অতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অনিদ্রার সমস্যায়ও পড়তে হতে পারে। এছাড়া আমাদের মধ্যে অনেকেই সব বিষয়ে টেনশন করেন। আর এই ধরনের মানুষের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কফি। উৎকণ্ঠায় ভুক্তভোগীদের কফি এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এছাড়া গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকারী মায়েদেরও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তীব্র গরমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় ও শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়া এক কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ এক কাপ কফির চেয়ে অনেক বেশি। যেমন কফিতে নেই চায়ের মেটাবলিজম ও হাইড্রেশনের গুণ। পাশাপাশি ফ্লেভারড কফি অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও উপযুক্ত নয়।

Link copied!