নতুন রোগীর চেয়ে অন্য হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করোনা রোগী বেশি আসছে রাজধানীর ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টারে। বাড়তি সেবা ও কম খরচের আশায় রোগীকে নিয়ে আসছে স্বজনরা। তবে শুধু নতুন আক্রান্তদের আসার আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সোম ও মঙ্গলবার হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে এই চিত্র দেখা গেছে।
বেসরকারি হাসপাতালের রোগী বেশি
ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশনে সেন্টারে কম খরচ ও ভাল সেবার আশায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে রোগী বেশি আসছে। গালিবা আহমেদ তার স্বজনকে নিয়ে ইবনে সিনা থেকে এ হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, ওনার হাইফ্লো অক্সিজেন প্রয়োজন। ইবনে সিনায় এইচটিও কিংবা আইসিইউ খালি না থাকার কারনে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও নারীর সংখ্যা বেশি। আর বেশিরভাগ রোগী সংকটাপন্ন বিধায় সাধারণ বেড খালি পড়ে আছে।
আইসিইউ সেবা পেতে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এখানে আসছে অনেকে
আইসিইউতে চাপ বেশি
ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫০ টি আইসিইউ বেড চালু হয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যেই তা পূর্ণ হবার পথে। তবে নতুন করে ৩০ টি বেড সচল রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি চালু হয়নি হাসপাতালটির কার্যক্রম। তবে আগামী ২৯ শে এপ্রিল নাগাদ হাসপাতাল দ্রুত চালু হয়ে যাবে। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সংকটাপন্ন রোগীরা আসছে বিধায় আইসিইউতেই রোগী ভর্তির চাপ বেশি।
রোগী শিফটে সংকট
লোকবল কম থাকায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স রোগীসহ দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আইসিউ রোগী বেডে স্থানান্তর করতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে বিধায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় রোগীর স্বজন অভিযোগ করলেও হাসপাতালের আভ্যন্তরীন অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
লোকবল কম থাকায় রোগী নিয়েই বাহিরে অপেক্ষা করতে হয়েছে
অন্য হাসপাতাল থেকে রোগী না আসার অনুরোধ
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা এখনও পুরোপুরি হাসপাতালটি চালু করিনি। বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এখানে আসবে। তবে এখনই অন্য হাসপাতাল থেকে রোগী না আসলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সুবিধার্থে এই হাসপাতালটি। তাই অনুরোধ করছি যারা অন্য হাসপাতালে আছেন তারা সেখানেই চিকিৎসা নিতে থাকুন।