যুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। বার্তা সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ইউএনডিপি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু অনুমান করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু ক্ষুধা, দারিদ্র ও রোগ প্রতিরোধের কারণে হতে পারে। সম্মুখ যুদ্ধ ও বিমান হামলার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে অনেক।
এই বিষয়ে ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, “ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ–শোক–ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই সংকট নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। হাদির পক্ষ হয়ে হুথির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।