ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী বৃহস্পতিবার ভারত সফর করবেন। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
বরিস জনসনের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জনসন কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনীতি ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। যাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে পারস্পরিক নিরাপত্তা সমঝোতা আরও বাড়ানো যায়।
বরিস জনসন বলেছেন, “যেহেতু আমরা একটি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের কাছ থেকে শান্তি ও সমৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার হুমকি পাচ্ছি, সুতরাং এই সময়ে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর একসঙ্গে থাকা আবশ্যক। ভারত একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির দেশ এবং বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। এই দুঃসময়ে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব বাড়ানো দরকার।”
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, মস্কোর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লন্ডন। এমনকী কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহও করেছে। মোদি সরকার সরাসরি ক্রেমলিনের পদক্ষেপের নিন্দা করেনি। তবে, ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। ভারতের বক্তব্য, রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু। এছাড়া দেশের বিদেশ নীতির অন্যতম ভিত্তি। জাতীয় নিরাপত্তাতেও মস্কো কৌশল-সঙ্গী।
গত মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব লিজ ট্রাস রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং খাদ্য সুরক্ষায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার জন্য ভারত সফর করেছিলেন।