ট্রাম্পকে কড়া জবাব চীনের, মার্কিন পণ্যে ১৫ শতাংশ মাসুল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০১:১২ পিএম

ট্রাম্পকে কড়া জবাব চীনের, মার্কিন পণ্যে ১৫ শতাংশ মাসুল

ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জবাব দিলো চীন। চীনের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ হারে মাসুল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। চীন তার পাল্টা হিসাবে আমেরিকার পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ হারে মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত নিলো। অর্থাৎ, আরো একধাপ এগিয়ে বেশি মাসুল বসালো চীন। খবর ডিডাব্লিউ বাংলা।

বেজিংয়ের অ্যান্টি মনোপলি ওয়াচডগ গুগুল নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে।

মঙ্গলবারই চীনা জিনিসের উপর অ্যামেরিকার ১০ শতাংশ হারে শুল্ক চালু হয়েছে। তার মিনিট কয়েকের মধ্যে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফে মার্কিন জিনিসের উপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা করা হয়।

এর পাশাপাশি চীনের বাণিজ্য় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু জিনিস আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে।

মেক্সিকো ও কানাডা নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ৩০ দিনের জন্য ক্যানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ হারে মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হলো। সীমান্তে আরো কড়া ব্যবস্থা নিতে ক্যানাডা রাজি হয়েছে। তারা ফেনটানিল-সহ অন্য মাদক পাচার বন্ধ করবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও জানিয়েছেন, তারা অ্যামেরিকার পণ্যের উপর যে ২৫ শতাংশ হারে মাসুল বসিয়েছিলেন, তা বাতিল করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমার দায়িত্ব হলো আমেরিকার সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমি আলোচনায় সন্তুষ্ট। তাই ৩০ দিনের জন্য মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছি।”

সোমবার একটি আলাদা বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবউমের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি মেক্সিকোর পণ্যের উপর মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত ৩০ দিন স্থগিত রাখছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, “মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ১০ হাজার সেনা পাঠাতে সেদেশের প্রেসিডেন্ট রাজি হয়েছেন।”

‘ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জের মোকবিলায় ইইউ-কে একজোট হতে হবে’

জার্মানির রক্ষণশীল সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মারৎস বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, তার মোকাবিলায় ইইউ-কে একজোট হতে হবে।

তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, “আমাদের এই অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে।”  

ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ইউরোপের কিছু জিনিসের উপর শুল্ক বসান। এর পাল্টা হিসাবে আমেরিকার জিন্স, হুইস্কি ও মোটরসাইকেলের উপর শুল্ক বসায় ইইউ। তারপর দ্রুত অ্যামেরিকা শুল্ক প্রত্যাহার করে।

মেরৎস বলেছেন, “ট্রাম্প যা করছেন, আমাদের এক হয়ে তার মোকাবিলা করতে হবে।”

নির্বাচনী সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর মেরৎসের চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আমেরিকার সঙ্গে ইইউ-র বাণিজ্য ঘাটতি কত?

যখন কোনো দেশ অপর একটি দেশ থেকে বেশি আমদানি করে, তুলনায় কম রপ্তানি করে, তখন বাণিজ্য ঘাটতি হয়। ইইউ থেকে অ্যামেরিকা অনেক বেশি পরিমাণে আমদানি করে, তুলনায় ইইউ-তে তারা কম রপ্তানি করে।

২৭টি দেশ নিয়ে তৈরি ইইউ ৫০ হাজার তিনশ কোটি ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। ওষুধ ও গাড়ি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রপ্তানি করে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ইইউ-তে ৩৪ হাজার সাতশ কোটি ডলারের জিনিস রপ্তানি করেছে। এর ফলে ২০২৩ সালে ইইউ-র তুলনায় অ্য়ামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ছয়শ কোটি ডলার।

Link copied!