উত্তরাখণ্ডে বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকতে হলে লাগবে সরকারি নিবন্ধন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

উত্তরাখণ্ডে বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকতে হলে লাগবে সরকারি নিবন্ধন

সংগৃহীত ছবি

ভারতের উত্তরাখণ্ডে যেসব নারী ও পুরুষ বিয়ে ছাড়া বসবাস (লিভ টুগেদার) করছেন বা বসবাসের পরিকল্পনা করছেন— তাদের অবশ্যই বিভাগীয় অফিসে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের বয়স ২১ বছরের নিচে, তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনুমতিও আনতে হবে। উত্তরাখণ্ডের যেসব বাসিন্দা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে থাকেন, তাদেরও লিভ টুগেদারে সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোডটি’ আইনে পরিণত হলেই এটি কার্যকর হয়ে যাবে।

তবে চাইলেই সবাই এক্ষেত্রে নিবন্ধন করতে পারবেন না। কারণ যেসব ক্ষেত্রে ‘গণ ও নৈতিকতা বিরোধী’ আলামত পাওয়া যাবে তারা নিবন্ধন করতে পারবে না। উদারহরণ স্বরূপ— বিবাহিত বা অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না। এছাড়া যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের নিবন্ধনও আটকে দেওয়া হবে।

উত্তরাখণ্ডের এক সরকারি কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেছেন, লিভ টুগেদারের নিবন্ধনের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। যেটি একজন বিভাগীয় রেজিস্ট্রার যাচাই করবেন। লিভ টুগেদারের অনুমতি প্রদানের আগে তিনি সবকিছু যাছাই-বাছাই করবেন। আর অনুমতির আগে দুই পার্টনার বা অন্য কাউকে ডাকতে পারেন রেজিস্ট্রার।

কোনো লিভিং পার্টনারের নিবন্ধন যদি প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে ওই নারী ও পুরুষকে লিখিতভাবে এর কারণ জানাতে হবে। এছাড়া কোনো সন্দেহের উদ্রেগ হলে পুলিশকে অবহিত করা হবে এবং যাদের বয়স ২১ বছরের নিচে তাদের বাবা-মাকে অবহিত করা হবে।

লিভ টুগেদার করতে হলে সরকারিভাবে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। যারা নিবন্ধন করবেন না তারা যদি ধরা পড়েন তাহলে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ২৫ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে। আর যারা ভুয়া তথ্য প্রদান করবেন তাদের তিন মাসের জেল অথবা ২৫ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি যদি কেউ নিবন্ধন করতে দেরি করেন তাহলে তার তিন মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি জরিমানা হতে পারে।

নতুন এ আইনটি মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের সংসদে তোলা হয়েছে। এই খসড়া আইনে আরও বলা আছে, লিভ টুগেদারের মাধ্যমে যেসব শিশুর জন্ম হবে তারা ‘বৈধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই রাজ্যে অবৈধ শিশু বলতে আর কোনো কিছু থাকবে না।

Link copied!