ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
রোববার (২৮ জুলাই) এক ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া অনুষ্ঠানে এই অনুমোদন দেন তিনি।
জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত পেজেশকিয়ান। আগামী মঙ্গলবার তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথের কথা রয়েছে।
গাজা যুদ্ধ ও লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনৈতিক অবস্থায়ই এই দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান। গতকাল শনিবার ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি ফুটবল মাঠে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এর শক্ত জবাবের হুমকিও দিয়েছে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ। লেবাননে নতুন কোনও অভিযানের বিরুদ্ধে ইরানও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে। উল্লেখ্য, অধিকৃত গোলান মালভূমিতে করা হামলার দায় অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
পেজেশকিয়ানকে অনুমোদন দিয়ে খামেনি বলেন, “ইসরায়েল কোনও দেশ নয়। এটি একটি অপরাধী গোষ্ঠী, খুনিদের আশ্রয়দাতা ও সন্ত্রাসী বাহিনী।”
একই সময় গাজায় ইসরায়েলকে প্রতিরোধের জন্য হামাসের প্রশংসাও করেন খামেনি।
গত মে মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। খামেনির উত্তরসূরি হিসেবেও মনে করা হতো তাকে। রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। দুই দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ম্যান্ডেট পেজেশকিয়ানের পক্ষেই যায়।