যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেলেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির স্ত্রী

বিবিসি

ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০২:১৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেলেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির স্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যার শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির স্ত্রী হানান এলাতার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন।

খাসোগিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দারাও মনে করছেন, খাসোগি হত্যার পেছনে বিন সালমান জড়িত।

হানান এলাতার ২০২০ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। হানান জানান, তিনি জীবন সংশয়ে ভুগছেন। নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।

বিবিসির পক্ষ থেকে নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হানান এলাতারের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গত ২৮ নভেম্বর মঞ্জুর করেছে মার্কিন প্রশাসন।

হানান এলাতার বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা জয়ী হয়েছি। হ্যাঁ, ওরা জামালের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা জয়ী হয়েছি।’

২৫ বছরের বেশি সময় হানান এলাতার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেছেন। এরপর তিনি মিসরে ছিলেন। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। জানান, মিসরে ফিরে গেলে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না।

হানান এলাতার এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। চাকরি ছেড়ে এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাস করছেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান হানান এলাতারের অ্যাটর্নি রান্দা ফাহমি।

ফাহমি আরও জানান, ২০২১ সালে হানান এলাতার যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়াটা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়া শেষে হানান এলাতারের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।’

সৌদি নাগরিক খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর কিছু কাগজ সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সেখানেই খুন হন খাসোগি। তাঁর মরদেহ টুকরা করে গুম করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন খাসোগি। তিনি সৌদি রাজপরিবার ও যুবরাজ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন। শুরুতে খাসোগি হত্যার কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। পরে সৌদি সরকার স্বীকার করে, কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

খাসোগি হত্যার দায়ে সৌদির একটি আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তাঁদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়। তবে যুবরাজ বিন সালমান এ হত্যায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।

Link copied!