সম্পদ বাজেয়াপ্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতি মামলায় জরিমানার অর্থ পরিশোধে অপারগতা জানানোর ফলে এই ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।
জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে দিতে হবে সুদও। এভাব সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। কিন্তু আদালতকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই পরিমাণ অর্থ তার কাছে নেই। খবর বিবিসির।
আদালতের বিচারপতি বলেন, ‘মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান। এর আগে তাকে অবশ্যই আপিল আদালতের অ্যাকাউন্টে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে অথবা তার পক্ষে কোনো কোম্পানিকে ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধের বন্ডে সই করতে হবে।
তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করছেন, অর্থ পরিশোধের জন্য ৩০ জনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা কেউ রাজি হয়নি।
এদিকে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, তাকে ফাঁসানোর জন্য এই মামলা করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প যদি জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে আগামী সোমবারই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে।