চীনে যাচ্ছেন কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিন, থাকবেন কুচকাওয়াজেও

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

চীনে যাচ্ছেন কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিন, থাকবেন কুচকাওয়াজেও

ছবি: সংগৃহীত

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় একটি সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২৬ রাষ্ট্রপ্রধানের এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

বিবিসি লিখেছে, চীন-জাপান যুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ ‘বিজয় দিবস’ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে।

বিবিসি লিখেছে, এ আয়োজনে প্রথমবারের মত চীনা সামরিক বাহিনীর নতুন কাঠামো পুরোপুরি তুলে ধরা হবে, যার মধ্যে থাকছে শত শত বিমান, ট্যাঙ্ক এবং ড্রোনরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

উচ্চপর্যায়ের এ সুসংহত কুচকাওয়াজে তিয়েনআনমেন স্কয়ার দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মার্চ করবেন হাজার হাজার সামরিক সদস্য। চীনা সামরিক বাহিনীর কথিত ৪৫টি ‘ইচেলন’ থেকে সেনা এবং সাবেক যোদ্ধারাও অংশ নেবেন।

বিবিসি লিখেছে, ৭০ মিনিটের এই কুচকাওয়াজের ওপর বিশ্লেষক ও পশ্চিমা শক্তিগুলোরও নজর থাকবে।

বেইজিংয়ের কেন্দ্রে এই কুচকাওয়াজে রাশিয়ার পুতিন ও চীনের শির পাশে কিম জং উনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আলোকচিত্রীদের জন্য হবে বড় আকর্ষণ। আর তা শির জন্য একটি কূটনৈতিক বিজয়।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এখন পুতিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত সপ্তাহেই ঘোষণা দিয়েছেন, কিমের সঙ্গে আবার দেখা করতে চান তিনি।

এর মধ্যে চীনা নেতা শি বার্তা দিতে চাইছেন, ভূরাজনৈতিক খেলায় প্রধান নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই। সীমিত পরিসরে হলেও তার প্রভাব উভয় নেতার উপরই রয়েছে।

বিবিসি লিখেছে, সময়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট হাউজ ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অক্টোবরের শেষে ওই অঞ্চলে যেতে পারেন এবং শির সঙ্গে বৈঠকেও তিনি আগ্রহী।

চীনের নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে কোনো বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগে কিম ও পুতিনের কাছ থেকে শলাপরামর্শ পাবেন এবং জানবেন যে তাকে আলোচনার বাইরে রাখা হয়নি।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম এবার বেইজিং যাচ্ছেন ছয় বছর বাদে; সবশেষ ২০১৯ সালে চীন ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।

নিভৃতচারী হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার এই নেতা ২০১৮ সালে তিনবার বেইজিং সফর করেছিলেন, যা ছিল তার আন্তর্জাতিক সফরের নিরিখে ব্যতিক্রমী এক ব্যস্ত বছর। কারণ তিনি বিদেশ ভ্রমণ খুব কমই করেন।

এ সপ্তাহের শুরুতে জাপান তার প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের কুচকাওয়াজে অংশ না নিতে ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোকে অনুরোধ করেছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ নেতা পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতার এ কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নেই।

Link copied!