আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিশাল অঞ্চলজুড়ে বিপর্যয়কর বন্যা শুরু হয়েছে। শতদ্রু, রাভি ও চেনাব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেখা দেওয়া এ বন্যায় অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, লাখ লাখ একর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ব্যাপক এ বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি ভারত দুটি বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় ওই তিনটি আন্তঃসীমান্ত নদী ফুলে ফেঁপে চারপাশ ভাসিয়ে নেয়। এতে পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলীয় জেলাগুলো বন্যায় ডুবে যায়। বন্যা এখন পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি করেছে।
পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, নারওয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোদা, লাহোর, কাসুর, ওকারা, গুজরানওয়ালা ও ফয়সালাবাদে ত্রাণ ও বন্যা মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য সরকার সেনাবাহিনী তলব করেছে।
গুজরানওয়ালার কমিশনার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বন্যায় এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন শিয়ালকোটে, চারজন গুজরাটে, তিনজন নারওয়ালে, দুইজন হাফিজাবাদে ও একজন গুজারানওয়ালায় মারা গেছেন।
জুনে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে বন্যায় পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৮০২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে কেবল চলতি মাসেই।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ও ৩৫ হাজার গবাদিপশু নিরাপদ এলাকায় এবং বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে ও পশু চিকিৎসা শিবিরগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাব সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই বন্যায় ছয় লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই বর্ষা ঋতুতে পাকিস্তানে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ।