ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। নতুন এ নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় আরও বিস্তৃত হবে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছেন। তালিকা চূড়ান্ত করার আগে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। প্রস্তাবিত তালিকা অনুযায়ী দেশগুলিকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে:
যেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে, সেগুলো হলো:
এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হলেও তা কঠোর শর্তসাপেক্ষ হবে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের কিছুটা সুবিধা দেওয়া হলেও অভিবাসী বা পর্যটন ভিসায় কঠোরতা থাকবে। কমলা তালিকার দেশগুলো:
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হবে তাদের নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য। তারা তা করতে ব্যর্থ হলে লাল বা কমলা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। হলুদ তালিকায় রয়েছে:
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিকতা স্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুটান ছোট একটি দেশ এবং নিরাপত্তা হুমকির তেমন কোনো রেকর্ড নেই, তবু এটি সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। আবার, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এটি কেবল কমলা তালিকায় রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার বেশিরভাগ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বা দরিদ্র, দুর্বল সরকারবেষ্টিত দেশ, যা পূর্বের বিতর্কিত ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞার’ ধারাবাহিকতা হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা আগামী সপ্তাহেই হোয়াইট হাউসে জমা দেওয়া হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি পর্যালোচনা করবে। তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের কীভাবে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে, বিদ্যমান ভিসাধারীদের কী হবে—এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করেছিলেন। তবে ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পরিকল্পনা করছেন।