মার্চ ১৩, ২০২৫, ১২:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন রাজি হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে এবার রাশিয়া যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। বুধবার এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইতোমধ্যেই “ইতিবাচক বার্তা” পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
যদিও এরপর নিজেই স্বীকার করেছেন যে, বাস্তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের ইতিবাচক বার্তার কোনো মূল্য নেই।
“কিন্তু ইতিবাচক বার্তার কোনো মানে হয় না। এটি খুবই গুরুতর একটি পরিস্থিতি,” বুধবার ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, এমন একটি সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বললেন যার একদিন আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
দীর্ঘ আলোচনার পর ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়।
ওই আলোচনায় অংশ নেওয়া মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠক শেষে এক মন্তব্যে তিনি “বল এবার রাশিয়ার কোর্টে” বলে উল্লেখ করেন।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শিগগিরই একটি প্রস্তাব মাস্কোতে পাঠানো হবে বলেও তখন জানিয়েছিলেন রুবিও।
জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কিও বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাশিয়াকে রাজি করানো এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে কথা বলতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকার মধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্ক অঞ্চলের একটি কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেছেন বলেও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।