আগস্ট ৩, ২০২২, ০৩:১৯ পিএম
চীনের বারংবার আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে আমেরিকার কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসি তাইওয়ানে পা রেখেছেন। আর তার অভিঘাত পৌঁছে গেছে বেজিং পর্যন্ত। তাইওয়ানকে নিশানা করে সাঁজোয়া গাড়ি, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্কের কুচকাওয়াজ চালাচ্ছে চিন। রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছে তারা। পাশাপাশি তাইওয়ানকে এবার ‘হাতে নয়, ভাতে মারার’ পরিকল্পনা কষছেন শি জিনপিং।
দক্ষিণ চীন সাগরের স্বশাসিত ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিয়ে চিনের দাবিদাওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। বস্তুত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই তাইওয়ানকে চিন নিজেদের অংশ বলেই দাবি করে এসেছে। যদিও তাইওয়ানের বাসিন্দারা তা মানতে নারাজ। সেই বিবাদ যেন আবার নতুন করে উস্কে উঠেছে পেলোসির ঐতিহাসিক সফরকে কেন্দ্র করে। ক’দিন আগেই প্রস্তাবিত সফরের বিরোধিতা করে শি জিনপিং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলেছিলেন, আগুন নিয়ে খেলার ফল হবে মারাত্মক! কিন্তু তাতেও পেলোসির সফর থামেনি। এবার চিন আমেরিকাকে সরাসরি হুমকির পাশাপাশি তাইওয়ানকে উচিত শিক্ষা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যম ছেয়ে গেছে চিনের সৈন্য তৎপরতার নানাবিধ ছবিতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামরিকভাবে নয়, তাইওয়ানকে ভাতে মারার পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বেজিং।
কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী চিন। গত বছর দু’দেশের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। বেজিং রাতারাতি তা বন্ধ করে দিয়েছে। পেলোসি তাইপের মাটি ছোঁয়ার আগেই তাইওয়ানের শতাধিক সরবরাহকারীর থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল।
বুধবার সকালে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় তাইওয়ানে বালি পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। একই ভাবে চিনের সংস্থাগুলো তাইওয়ানের সাথে যোগাযোগ স্থগিত করেছে। তাইওয়ানের সাথে আপাতত সমস্ত বাণিজ্যিক লেনদেনও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এমনিতেই নাকাল গোটা দুনিয়া। তাইওয়ান পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে, এ নিয়েই ভাবছে এখন বিশ্ব।
সূত্র: এপি, এএফিপি ও রয়টার্স