উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের নামাজ ঢাকায়, ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল শনিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। এতে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষ। জামাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত
ঢাকার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, “নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে—এমন কোনো ডিভাইস বা যন্ত্রপাতি আনবেন না। প্রয়োজনে জায়নামাজ বা পানির বোতলও আনার প্রয়োজন নেই।”
বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে—সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে।
বিভাগীয় শহরগুলোর প্রধান ঈদ জামাত
ঢাকা
বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত: সকাল ৭টা থেকে শুরু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে: সকাল ৭:৩০ এবং ৮:৩০টায়।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে: সকাল ৭টায়।
চট্টগ্রাম
জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে প্রধান জামাত: সকাল ৭:৩০টায়, ইমামতি করবেন খতিব সৈয়দ আলাউদ্দিন আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী।
দ্বিতীয় জামাত: সকাল ৮:৩০টায়।
লালদীঘি, চশমা ঈদগাহ, সুগন্ধা, চকবাজার, হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন মসজিদে: সকাল ৭:৩০টায় জামাত।
রাজশাহী
হযরত শাহ মখদুম (র.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত: সকাল ৭:৩০টায়।
বৃষ্টির আশঙ্কায় বিকল্প জামাত: সকাল ৮টায় শাহ মখদুম দরগাহ জামে মসজিদে।
খুলনা
সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধান জামাত: সকাল ৭:৩০টায়।
আবহাওয়া খারাপ হলে: খুলনা টাউন জামে মসজিদে একই সময়ে।
টাউন জামে মসজিদে অতিরিক্ত জামাত: ৮:৩০ এবং ১০টায়।
আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে: সকাল ৭টায়।
বরিশাল
হেমায়েত উদ্দিন রোড কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জামাত: সকাল ৭:৩০টায়।
আমতলা মোড়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে: একই সময়ে।
চরমোনাই দরবার শরিফে জামাত: সকাল ৯টায়, ইমামতি করবেন পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
নগরীর বিভিন্ন মসজিদে দুটি করে জামাত: সকাল ৮টা ও ৯টা।
সিলেট
শাহী ঈদগাহে প্রধান জামাত: সকাল ৮টায়, ইমাম মুফতি জুনায়েদ আহমদ।
কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে: ৭টা, ৮টা ও ৯টায় তিনটি জামাত।
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আনজুমানে খেদমতে কোরআনের জামাত: সকাল ৭:৩০টায়।
রংপুর
কালেক্টরেট ঈদগাহে প্রধান জামাত: সকাল ৮টায়, ইমামতি করবেন মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।
জেলার ৫ হাজার ৯০টি স্থানে জামাতের সময়সূচি নির্ধারিত।
ময়মনসিংহ
আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে: প্রধান জামাত সকাল ৭:৩০টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮:৩০টায়।
নগরীর বড় মসজিদে: সকাল ৮টায়।
মাদানী নূর মার্কাজ মসজিদ মাঠে: ৭টা ও ৮:৩০টায় জামাত।
বৃহত্তম ঈদ জামাত শোলাকিয়া ও গোর-এ-শহীদে
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ, কিশোরগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহ।
দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮:৩০টায়। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ মুসল্লি ২২ একর মাঠে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ইমামতি করবেন মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়া বা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ জামাত সম্পন্ন করতে প্রস্তুত প্রশাসন ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার ঘরে ঘরে।