জুন ৪, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য জিনিস’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। তার এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যকার মনোমালিন্য আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বাজেট বিলে কোটি কোটি ডলারের করছাড়, প্রতিরক্ষা খাতে খরচ আরও বাড়ানো ও সরকারকে বেশি ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের এ প্রস্তাবটি গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া উদ্যোগটির বিষয়ে খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘যারা এতে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধিক্কার জানাই।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগে ১২৯ দিন কাজ করার পর গত সপ্তাহে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন ইলন মাস্ক। দক্ষতা বিভাগের প্রধান হিসেবে তার কাজ ছিল সরকারি খরচ কাটছাঁট করা।
সরকারি দায়িত্ব ছাড়ার পর এটাই মাস্কের প্রথম প্রকাশ্য ট্রাম্পবিরোধী মন্তব্য। এর আগে তিনি এই পরিকল্পনাকে ‘হতাশাজনক’ বলেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ধনকুবের খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের মালিক মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে গত ৩১ মে পর্যন্ত ছিলেন। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন, সব উপায়ে সহযোগিতা করবেন।’
এ বিলকে ট্রাম্প ‘দারুণ’ বললেও ধারণা করা হচ্ছে, এতে আগামী অর্থবছরে বাজেট–ঘাটতি বেড়ে যাবে। সরকারের রাজস্ব আয়ের চেয়ে খরচের পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি ডলার বেশি হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্সে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন মাস্ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, এ খরচের বিল যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে থাকা বিশাল বাজেট–ঘাটতিকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে দেবে। এতে মার্কিন নাগরিকদের ওপর অসম্ভব রকমের ঋণের বোঝা চাপবে।
মাস্ক এর আগেও বলেছিলেন, ট্রাম্পের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যেকোনো রিপাবলিকান প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তিনি সহযোগিতা করবেন।
গতকাল এক্সে দেওয়া আরেকটি পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘আগামী বছরের নভেম্বরে মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী সবাইকে আমরা সরিয়ে দেব।’
গতকাল এক্সে মাস্কের প্রথম পোস্টের কিছুক্ষণ পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘ইলন মাস্ক এই বিলের বিষয়ে কী অবস্থানে ছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে জানেন।’
লেভিট আরও বলেন, ‘এটি একটি বড়, দারুণ বিল এবং প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অনড়।’
মাস্কের মন্তব্যে ট্রাম্পের বিল নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যকার মতবিরোধকেই প্রতিফলিত করছে। প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি নিয়ে আলোচনা চলার সময় প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্যদের বিভিন্ন অংশ এর বিরোধিতা করেছিল।
প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়ার পর এখন রিপাবলিকান–নিয়ন্ত্রিত সিনেটেও এই বিল নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানেও বিলটি নিয়ে মতবিরোধ দেখা গেছে।