মে ১২, ২০২৩, ০৭:১৩ এএম
মাঙ্কি ডাস্ট। নতুন এক মাদকের নাম। এই মাদক এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে যুক্তরাজ্যের জন্য। এ মাদক সেবন করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে দেশটির তরুণ সমাজ। মাদকটি সেবন করে তাদের কেউ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ছে, কেউবা আবার চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে কাচের গ্লাস। পরিস্থিতি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে দেশটির প্রশাসন।
যুক্তরাজ্য ভয়ংকর এই মাদকটির ক্ষতিকর ও ভয়াবহতার দিক থেকে এ-ক্লাস (প্রথম সারির) হিসেবে বিবেচনার কথা ভাবছে। এমনটি করা হলে এই মাদক সরবরাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক রিপোর্টে এ খবর জানা গেছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, মাদকটি সেবন করলে হেলুসিনেশনের পাশাপাশি ছিটগ্রস্ত হয়ে পড়ে সেবনকারী। শুধু তাই নয়, নিজেকে হাল্কের মতো শক্তিশালীও ভাবতে শুরু করে তারা। মাদকটি ইংল্যান্ডের স্টোক-অন-ট্রেন্ট এবং স্টাফোর্ডশায়ারে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অপরাধ বৃদ্ধির পেছনেও এই মাদক কাজ করছে। সেবনকারীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বাড়াচ্ছে।
দেখা গেছে, স্ট্যাফোর্ডশায়ার কাউন্টির বার্টন এলাকায় মাঙ্কি ডাস্ট সেবন করে দেওয়াল বেয়ে একটি ভবন ছাদে উঠেন এক ব্যক্তি। পরে তিনি সেখান থেকে নিচে থাকা একটি গাড়ির ওপর লাফিয়ে পড়েন এবং পুলিশ অফিসারদের সাথে তিনি হাতাহাতিও শুরু করেন। অনেক উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়লেও ওই ব্যক্তির মধ্যে ব্যথার কোনো অনুভূতি ছিল না! এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যের জরুরি পরিষেবাগুলো এই মাদকের বিস্তারকে একটি মহামারির সাথে তুলনা করছে।
নতুন এই মাদকের বিষয়ে দেশটির অপরাধ এবং পুলিশিং মন্ত্রী ক্রিস ফিল্প বলেছেন, এই সিনথেটিক মাদক বহু জীবন, পরিবার এবং মহল্লা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ল্যাবে তৈরি করা এই মাদককে অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
মাদকের ভয়াবহতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই বি-শ্রেণির মাদক নিষিদ্ধ। এখন যুক্তরাজ্যে নতুন এই মাদক ছড়িয়ে পড়ার পর এর চরম মূল্য দিতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন। এ কারণে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা।
স্টাফোর্ডশায়ারের পুলিশ প্রধান রব হেসেল যেমনটা বলেছেন, ‘আমরা এই সিনথেটিক মাদককে এ শ্রেণিভুক্ত করার বিষয়টিকে সমর্থন করছি। এমনটি করা হলে এর ক্ষতির হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ শ্রেণিভুক্ত করা হলে এই মাদকটি মানুষের হাতে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট