বিগত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। অবশেষে সেই জল্পনাকে সত্যি করেই মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে কংগ্রেস সদরদপ্তরে রাহুল গান্ধীর হাত ধরে, কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কানহাইয়া বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গতি বাড়াতে হবে। মতাদর্শগত সঙ্কীর্ণতা ভাঙতে হবে। বামেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার নয়, কিন্তু কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।’
এদিন দুপুর একটা নাগাদ সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাকে চিঠিতে কানহাইয়া জানান, ‘তিনি আর বাম দলে থাকছেন না।’
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদে নেতা হিসেবে কানহাইয়া বাম শিবিরে আশা জাগিয়েছিলেন। বিজেপি তাকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্য বলে তীর্যক মন্তব্যও করেছিল।
কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়র মন্তব্য, ‘সার্জিকাল স্ট্রাইকের বর্ষপূর্তিতে ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে-র জন্য বিখ্যাত কানহাইয়া ও জিগ্নেশকে কংগ্রেস দলে নিচ্ছে।... ভারতবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোই এখন কংগ্রেসের নীতি।’
কংগ্রেসে যোগ দিয়েই কানহাইয়া নিজস্ব ধাঁচে নরেন্দ্র মোদীকে ‘গডসের পূজারি’, ‘বার বার পোশাক বদলানো এ যুগের গোবিন্দা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘গান্ধী কস্তুরবা গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়েছিলেন। তাকে দেশের জন্য পরিবার ছাড়তে হয়নি। ওকে নাকি হয়েছে!’
এ দিন সংবাদ বৈঠকে কানহাইয়া আরও বলেন, ‘সিপিআইয়ে তার জন্ম, রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তবে এখন ডান, বাম সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে।’
অন্যদিকে ক্ষুব্ধ হয়ে সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছেন, ‘কানহাইয়া সিপিআইয়ের সঙ্গে, মতাদর্শের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’
তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা মেটাতেই কংগ্রেসে গিয়েছেন কানহাইয়া।’
সূত্র: এএনআই, আনন্দবাজার।