৪ লাখ টাকায় লিবিয়ায় নিয়ে মারধর, মুক্তিপণ আদায় পাচার চক্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৪, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

৪ লাখ টাকায় লিবিয়ায় নিয়ে মারধর, মুক্তিপণ আদায় পাচার চক্রের

রোমেল নামের বাংলাদেশি এক যুবককে লিবিয়ায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে পাচার চক্র। পাচার চক্রের সদস্যদের ধরতে রোমেলের পরিবারের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকাও পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর জের ধরেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পরে ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশে অবস্থানকারী পাচার চক্রের মূল হোতা সোহেলকে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন পিবিআই নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, “কার্পেট ফ্যাক্টরিতে কাজ পাওয়ার আশায় ৪ লাখ টাকায় লিবিয়ায় যাওয়ার চুক্তিবদ্ধ হন রোমেল মিয়া। প্রথমে ২ লাখ টাকা দিয়ে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই যান। পরবর্তীতে আরও ২ লাখ টাকা দিয়ে দুবাই থেকে মিশর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু লিবিয়া যাওয়ার পর প্রত্যন্ত একটি জায়গায় আটকে মারধর শুরু করে পাচার চক্র। নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে পরিবারকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সেসব দেখানো হতো। রোমেলকে ফেরত পেতে হলে তার পরিবারকে ১২ লাখ টাকা পাঠানোর দাবি করেন তারা।”

পুলিশ সুপার আরও জানান, “ছেলের এমন নির্যাতনের চিত্র দেখে বাবা আশাদ মিয়া পিবিআই নরসিংদীতে মামলা করেন। পরে রোমেলের পরিবার পিবিআই নরসিংদীতে যোগাযোগের পর তদন্ত করে জানা যায়, লিবিয়ার ভিকটিম রোমেলসহ আরও অনেক বাংলাদেশি আটক ছিল। চক্রটি তাদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে নিয়মিত মুক্তিপণ আদায় করছে। আসামিদের ধরতে রোমেলের পরিবারের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকাও পাঠানো হয় পাচার চক্রের কাছে। টাকা পাঠানোর জের ধরেই পিবিআই নরসিংদী জেলার তিনটি টিমের মাধ্যমে ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও নরসিংদীর রায়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশে অবস্থানকারী পাচার চক্রের মূল হোতা সোহেলকে। সোহেলের মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ভিকটিম রোমেলকে উদ্ধার করা হয়।”

Link copied!