জানুয়ারি ২, ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার সুস্পষ্ট অপব্যবহার বলে মনে করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে গতকাল ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (১ জানুয়ারি) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাস করে, দেওয়ানি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা শ্রম আইন ও বিচারব্যবস্থার সুস্পষ্ট অপব্যবহার। এটি তাঁর কাজ ও ভিন্নমতের জন্য রাজনৈতিক প্রতিশোধ।
অ্যামনেস্টি মনে করে, ৮৩ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক। বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে এবং সমালোচকদের দমন করেছে।
অ্যামনেস্টি বলছে, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার-সম্পর্কিত আদালতের মামলায় শম্বুক গতির সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র।