কৃষকের কিডনি চুরি: আদালতে ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইউএনবি

জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৫:৪৪ এএম

কৃষকের কিডনি চুরি: আদালতে ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে চট্টগ্রামে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কৃষক মো. আবু বক্কর।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার নেতৃত্বাধীন আদালতে এই মামলা করা হয়।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম ও তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন। তারা মিরসরাইয়ের কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে থাকেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে এই মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছর ৩ এপ্রিল বক্করের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

চলতি বছর ১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাফি করান তিনি। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপর আসামিদের জানানো হলে তারা বিষয়টি গোপন রাখার অনুরোধ করেন।

Link copied!