ড. ইউনুসসহ চারজনের মামলার শুনানি শুরু

জাতীয় ডেস্ক

নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ১২:১৭ এএম

ড. ইউনুসসহ চারজনের মামলার শুনানি শুরু

ছবি: সংগৃহীত

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ শুনানি শুরু হয়। ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও খুরশীদ আলম খান। পরে বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আগামী (২০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, শুনানি শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। ওইদিন ড. ইউনুসসহ চারজনের পক্ষে তিনি শুনানি করবেন।

আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইউনূস তখন বলেন, ‘আমি তো নিজে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই। কিন্তু ভুল হলেই তা ইচ্ছাকৃত নয়।’

এর আগে গত ( ৯ নভেম্বর) লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। তার আগে গত (৬ নভেম্বর) শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন এই আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে চারজন সাক্ষ্য দেন। ড. ইউনুসসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত (৬ জুন) এই মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনুসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানালে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করেন। পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের নামে এ মামলা করেন। 

অভিযোগ গঠনের পর এই মামলা বাতিলের জন্য ড. ইউনুস হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করার পর আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
 

Link copied!