অ্যালোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ প্রজাতি। এটি হল এলো পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এদের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভেষজ গুণ আছে। বহুগুণে গুণান্বিত এই সমস্ত উদ্ভিদের ভেষজ গুণের কোন অন্ত নেই। এর মধ্যে আছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ও ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। এই উদ্ভিদের আদি নিবাস হল মাদাগাস্কার ও আফ্রিকার মরু অঞ্চল।
এই উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে ২০ রকমের খনিজ। মানবদেহের জন্য যে ২২ টি এমিনো অ্যাসিড প্রয়োজন তার ৮ টি এও মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, বি১২, সি এবং ই।
১। অ্যালোভেরা চুল সুন্দর করতে
চুল সুন্দর করার জন্য অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার ব্যাবহার মাথার খুশকি দূর করতে করা হয়। এছাড়া ঝলমল চুলের জন্যে অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। তাই চুলের যত্নের জন্য অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসংগী হতে পারে।
২। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা
ত্বক যত্নের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার আমরা সবাই একটু আদটু জানি। অ্যালোভেরার মধ্যে যে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান থাকে তা ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূরীকরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। ওজন কমাতে অ্যালোভেরা
অনেক পুষ্টিবিদ ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার উপদেশ দিয়ে থাকেন। এর কারণ হল ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস খুবই কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের ফলে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের মধ্যে অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান থাকে যা এই প্রদাহ রোধ করে ওজন কমাতে করতে সাহায্য করে।
৪। দাঁতের জন্য অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথার জন্য খুবই উপকারী উপাদান। যদি দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে তা দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস যদি খাওয়া হয় তাহলে দাঁতের ক্ষয় অনেকাংশে কমে যাওয়া।
৫। হজমশক্তি বাড়াবার জন্য অ্যালোভেরা
হজমশক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা জুসের কোন জুড়ি নেই। অ্যালোভেরার জুস অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। আবার এই অ্যালোভেরা ডায়রিয়া রোগের বিরুদ্ধেও খুব ভাল কাজ করে।
৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ বজায় রাখে ও শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। যদি ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।