দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

দেশের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

। ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আস্থা নেই বলেই চিকিৎসা নিতে মানুষ ভারত যাচ্ছে, ব্যাংকক যাচ্ছে।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান এমনভাবে বাড়াতে হবে, এমন কিছু কাজ করতে হবে, যাতে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আস্থার অভাবে না ভোগে।’ এর জন্য তিনি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করবেন বলে জানান।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা কামনা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘কাঁচামাল এবং ডলারের দাম বেড়ে গেছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, বেতন বেড়েছে। কম্পানিগুলো বলছে, তারা অত্যন্ত অসহায়, বন্ধ করে দেওয়ার মতো অবস্থা। প্রথম শ্রেণির কম্পানি ছাড়া বাকিগুলো চলতে পারছে না।’

স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে সামন্ত লাল সেন বলেন, রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব না। আস্থা নেই বলেই মানুষ চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষ ভারত যাচ্ছে, ব্যাংকক যাচ্ছে। রংপুর থেকে মানুষ ঢাকায় আসছে, তার মানে আস্থাহীনতার অভাব। আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হলে গ্রাস রুট লেভেলে কাজ করা, যেটি আমি শুরু করেছি মাত্র। আমাকে আরও সুযোগ দিতে হবে। আমি চেষ্টা করছি। আমি পারবো না শতভাগ, তবে আমি চেষ্টা করবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের কার্যক্রম কোনোভাবেই চলতে পারে না। এসব ক্লিনিক ও হাসপাতালের তালিকা করা হচ্ছে, দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আদালতে রয়েছে তাই এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তাহলে আদালত অবমাননা হয়ে যাবে। হাইকোর্ট থেকে কী রায় দেন, সেটা আমরা দেখি আগে, তারপর।’

Link copied!