বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১০, ২০২১, ০১:১২ এএম
দেশব্যাপী দীর্ঘদিনের বিধিনিষেধের পর আগামী বুধবার থেকে গণপরিবহনসহ প্রায় সবকিছুই খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতিদিন মোট গণপরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ‘অন্তত কিছুদিন জেলাপর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে যত বাস আছে, তার অর্ধেক চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে বাইরে থেকে চাপ কম হয়। একসঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামে ঢুকতে না পারে।’
এ সিদ্ধান্ত কেবল আন্তজেলার জন্য কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্থানীয় প্রশাসন এটা ঠিক করবে। ডিসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক ও শ্রমিকেরা বসে পদ্ধতি বের করবেন।’
রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
সবকিছু খুলে দেওয়ার পর সড়কপথে অর্ধেক গণপরিবহন চললে মানুষের চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক বাস চললে চাপ বাড়বে। এমনিতেই শ্রমিকেরা কর্মহীন অবস্থায় আছেন। এখন অর্ধেক বাস চললে শ্রমিকেরাও অসুবিধায় পড়বেন। এ জন্য এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
-20240518060921.jpeg)
