নিরাপত্তায় উদ্বেগ জানিয়ে দেশের সব নিম্নআদালত ও ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সোমবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের স্বাক্ষর করা একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে এর আগে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়। অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থীদের মূল দলিল অথবা ডকুমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি কিংবা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে
এ জন্য অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতি ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
২. আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
৩. আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দিয়ে সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া।
৪. আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
৫. আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলো গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা। ভঙ্গুর দরজা ও জানালাগুলো নতুন করে স্থাপন করা।
৬. মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
৭. আদালত সীমানার চারদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
৮. আদালতে ব্যবহারের জন্য মানসম্মত ফার্নিচার অথবা লকার নিশ্চিত করা।
৯. জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশের আদালত ও আশপাশের এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহল জোরদার করা।
১০. প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনাল চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
১১. অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করে প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
