কাল পবিত্র ঈদ উল আজহা

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল রবিবার (১০ জুলাই) উদযাপিত হবে।

রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।

আরবি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা পালিত হয়। এটি আমাদের দেশে 'কোরবানির ঈদ' নামেও পরিচিত। কোরবানির হাটে গিয়ে পশু কেনা, তার যত্ন-পরিচর্যাতেই ঈদের মূল প্রস্তুতি ও আনন্দ লুকায়িত থাকে। এরই মধ্যে সারাদেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আজ শনিবার রাতেই শেষ হচ্ছে এসব পশুর হাট। তাই আজ সারাদিন ও রাতে থাকছে কোরবানির পশু কেনার শেষ সুযোগ।

এদিকে, করোনাকালে ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষদের স্বাস্থ্যবিধিথ মেনে না চলায় উদ্বেগ জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার গত ২৪ ঘন্টায় সাত জনের মৃত্যু ও দেড় হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় এই উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে।

মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় এই উৎসব উদযাপনে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে কোনো ধরণের আলোকসজ্জা না করা, এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে দাঁড়ানো উল্লেখযোগ্য।

সরকারের নির্দেশনাগুলো হলো:

১. আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। 

২. সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যেতে হবে। 

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। 

৪. ঈদের নামাজের জামায়াতে যাওয়া মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। 

৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে দাঁড়াতে হবে। 

৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

৭. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

৮. পশু কুরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে। 

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

• বিষয় :
• ঈদ উল আজহা