গৃহকর্মী নিয়োগে ১৪ সুপারিশ ডিএমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৫:১১ এএম

গৃহকর্মী নিয়োগে ১৪ সুপারিশ ডিএমপির

গৃহকর্মীর বেশে বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করে চুরি ও খুনের ঘটনা প্রতিরোধে  গৃহকর্মী নিয়োগে ১৪ সুপারিশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে ওই সুপারিশগুলো প্রকাশ করা হয়।

সুপারিশগুলো হলো-

১.কাজের বুয়া-কাজের লোক নিয়োগের আগে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, সদ্য তোলা রঙিন ছবি, শনাক্তকারী ব্যক্তি, ব্যক্তির পরিচয় ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিন।

২. সব তথ্য নেওয়ার পর নিকটস্থ থানায় কাজের বুয়া-কাজের লোকের তথ্য দিন এবং নিজের কাছে রাখুন। এর ফলে সে অতীতে কোনো অপরাধ করে থাকলে পুলিশ তাকে সহজেই শনাক্ত করতে পারবে।

৩.অতীতে সে কোথায় কাজ করেছে তার বিস্তারিত তথ্য নিন এবং কাজ ছাড়ার কারণ জানার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পূর্বের কাজের ঠিকানায় যোগাযোগ করে তার তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।

৪. কাজের বুয়া-কাজের লোকের পরিবারের তথ্য নিন। তার স্থায়ী ঠিকানা ও পরিবারে কে কে আছে তা জানার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে তার স্থায়ী ঠিকানায় যোগাযোগ করে দেখতে পারেন, সে আসলে ওই ঠিকানায় বসবাস করে কি না। এত কিছু খোঁজখবর অনাবশ্যক মনে হতে পারে, কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হলে তখন আফসোস হবে।

৫. বর্তমানে ডিএমপি নগরীর সব মানুষের তথ্য সংরক্ষণে কাজ করছে। ডিএমপি কর্তৃক নির্ধারিত তথ্য ফরমে আপনার কাজের বুয়া-কাজের লোকের তথ্য পূরণ করে থানায় জমা দিন।

গৃহকর্মী নিয়োগের পরে যা করবেন-

১. নিয়োগের পর তার গতিবিধি লক্ষ্য করুন। তার আচরণ আপনি বুঝতে পারবেন সে আসলে কেমন ব্যক্তি।

২. বাসার মেন গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারেন। এতে করে আপনার বাসায় কোনো অপরিচিত লোকের আনাগোনা হচ্ছে কি না, তা দেখা সহজ হবে। প্রয়োজনে ঘরের ভেতরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। যাতে আপনার অনুপস্থিতিতেও কাজের বুয়ার কর্মকাণ্ড মনিটর করতে পারেন।

৩. বাসায় মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা কাজের বুয়া-কাজের লোকের অগোচরে রাখুন। আপনার লকারের চাবি সব সময় আপনার কাছে রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে যে রুমে লকার-আলমারি রয়েছে, সে রুম আলাদাভাবে তালাবদ্ধ করে রাখুন।

৪. কাজের বুয়া-কাজের লোককে একা রেখে সবাই বাড়ি ছেড়ে যাবেন না। বাচ্চা রেখে গেলে সঙ্গে আরও একজনকে রাখুন। কোনো অবস্থাতেই বাচ্চাকে একা রেখে যাবেন না।

৫. কাজের বুয়ার চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন। তাতে করে সে লোভী কি না জানতে সহজ হবে।

৬. সন্দেহজনক কারোর সঙ্গে কাজের বুয়া মোবাইলে কথা বলে কি না অথবা তার কাছে সন্দেহজনক কেউ দেখা করতে আসে কি না এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

৭. বাড়িতে গ্যাসের চুলা, ইলেক্ট্রিক যন্ত্রাংশ ব্যবহারে কাজের বুয়া-কাজের লোক সতর্ক রয়েছে কি না, লক্ষ্য করুন। অসতর্কতার ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৮. কাজের লোক-বুয়াকে নিয়ে কোথাও ভ্রমণে গেলে সব সময় সঙ্গে সঙ্গেই রাখুন। সে হারিয়ে গেলে বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আপনাকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

৯. আপনার বাসার কাজের লোক-বুয়ার সঙ্গে মানবিক আচরণ করুন।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, সচেতনতাই রুখতে পারে কাজের বুয়া-কাজের লোকের অপরাধের তৎপরতা। কাজের বুয়া-কাজের লোককে অতি বিশ্বাস না করাই শ্রেয়। তাদেরকে নজরদারিতে রাখতে হবে নিজেজের স্বার্থেই। এ ছাড়া, যেকোনো প্রয়োজন ও সমস্যায় নিকটস্থ থানা বা ফাঁড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

Link copied!