করোনা মহামারির এই সময়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি সরকার মানুষের জীবিকা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, গৃহায়ণ এবং কোভিড-১৯ টিকার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে জনগণ যেন কোন ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট ছাড়াই স্বাচ্ছন্দে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান ভাবনা।’
মঙ্গলবার রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যোগ দেন।
করোনা মহামারির চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য উন্নয়ন কাজের চেয়ে সরকার খাদ্য, গৃহায়ণ এবং ভ্যাকসিনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে যে তহবিল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা দিয়েই আপনাদের (মন্ত্রণালয় ও বিভাগ) উন্নয়ন কর্মকা-গুলো চালিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে কোন অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দের প্রয়োজন নেই।’
গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত টিকা দিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন আমরা কিনেছি, সামনে আরও নিতে হবে। ১৭ কোটির মতো আমাদের মানুষ। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত টিকা দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের টাকা রাখতে হবে। আরও ভ্যাকসিন কিনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার করোনা ভাইরাসের কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে দেশকে টেনে তুলছে। দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করায় সকল স্তরের মানুষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’
দেশে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিতকর সতর্ক ও মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মাথায় রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল দেশ। তাই, আমরা অন্য কোন দেশের সহায়তা চাইতে পারি না বরং আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ দেশকে এগিয়ে যাবে।’