দেশে শর্তসাপেক্ষে বঙ্গভ্যাক্স ও চীনা টিকা ট্রায়ালের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৬, ২০২১, ০৯:৪৪ পিএম

দেশে শর্তসাপেক্ষে বঙ্গভ্যাক্স ও চীনা টিকা ট্রায়ালের অনুমতি

অবশেষে দেশের গ্লোব বায়োটেকের করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এবং চীন ও ভারতের দুটি টিকাসহ মোট তিনটি টিকা মানুষের শরীরে পরীক্ষার (হিউম্যান ট্রায়াল) জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তবে এবারও জুড়ে দেয়া হয়েছে কিছু শর্ত। বুধবার (১৬ জুন) সকালে বিএমআরসির বিশেষজ্ঞদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএমআরসি বলছে, ‘হিউম্যান ট্রায়ালের’ আগে বিএমআরসির নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের শর্ত পূরণ করতে হবে।

শিম্পাঞ্জি ও বানরের ওপর এই টিকাগুলোর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমস্ত কাগজপত্র বিএমআরসিতে জমা দিতে হবে বলে জানায় বিএমআরসি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশে বহুদিন থেকে টিকার ট্রায়াল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বিএমআরসির সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হওয়ায় বিজ্ঞানীদের একটি অংশের মধ্যে হতাশা ছিল। আইসিডিডিআরবি’র দুজন বিজ্ঞানী চীন ও ভারতের টিকার জন্য আর গ্লোব বায়োটেক বঙ্গভ্যাক্সের টিকার ট্রায়ালের জন্য এই অনুমোদনের আবেদন করে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হয় যে, গ্লোব বায়োটেকের করোনা টিকা 'বঙ্গভ্যাক্স' প্রাণিদেহে কার্যকর। এরপর মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ প্রতিষ্ঠানটিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল জার্নাল 'ভ্যাকসিনে' বলা হয়, বঙ্গভ্যাক্স হলো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকরী টিকা যা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফলভাবে মানবকোষ ও প্রাণীদেহে সুরক্ষা দিয়েছে। এ গবেষণাপত্র প্রকাশের পর ফের আলোচনায় আসে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এই টিকা অন্তত ৬ মাস সুরক্ষা দেবে মানবদেহে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পায় গ্লোব।

Link copied!