পরিত্যক্ত মর্টারশেল কুড়িয়ে পেয়ে গুপ্তধন মনে করে কাটার চেষ্টা, উড়ে গেল যুবকের পা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২৩, ০৩:৫৪ এএম

পরিত্যক্ত মর্টারশেল কুড়িয়ে পেয়ে গুপ্তধন মনে করে কাটার চেষ্টা, উড়ে গেল যুবকের পা

ভেবেছিলেন ভেতরে গুপ্তধন আছে। এ কারণে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেলটি নিয়ে গোপনে সেটি কাটতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিস্ফোরণে তার ডান পা উড়ে গেছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়। ভুক্তভোগীর নাম বাবু মিয়া (৪০)। 

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বাবু মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন‍্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহত বাবু মিয়া ওই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, মাটি কাটার কাজ করেন বাবুর মামা আব্দুল গফুর। একই গ্রামের আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় একটি ভারি লোহার বস্তু পান আব্দুল গফুর। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাবু তাঁর নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকারের লাইন থেকে বিদ‍্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টার শেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে চেষ্টা করেন। এ সময় এটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।

মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিড়ে লোহার গেট ফুটো করে পার্শ্ববর্তী ফিলিং স্টেশনের বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মর্টার শেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান জানান, খবর শোনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত‍্যক্ত মর্টার শেল ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Link copied!