প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মেট্রোরেলের গন্তব্যে যাত্রা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৮:১১ পিএম

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মেট্রোরেলের গন্তব্যে যাত্রা

দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টিকিট কেটে সবুজ পতাকা উড়িয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু করেন তিনি। বেলা ২টায় তাঁকে নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে মেট্রোরেল।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

বেলা ১টা ৩৩ মিনিটে ১ নম্বর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে টিকিট কাটেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাও। ১টা ৩৭ মিনিটে কার্ড পাঞ্চ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোন। চলন্ত সিঁড়িতে চড়ে প্ল্যাটফর্মে যান তিনি। সবুজ পতাকা উড়িয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এরপর অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাজ শেষে ১টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

প্রথমবার ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে চড়ছেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি/বাদাম বিক্রেতা/সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলাকারীবাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন দৃষ্টি/বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ করছেন সবমিলিয়ে দুই শতাধিক মানুষ।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, প্রধানমন্ত্রীর সাথে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রীদের তালিকায় আছে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকাররাও।

উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। প্রতিটি ট্রেন প্রথম কয়েক দিনের জন্য প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়।

প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

Link copied!