বাবুল আক্তারকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৪, ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম

বাবুল আক্তারকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাইকোর্ট

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যার অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানায় আদালত। তবে ওই মামলায় বাবুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, রাষ্ট্রপক্ষের কাছে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও কাজী মোঃ ইজারুল হক আখন্দের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। বাবুলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার মক্কেলের হাইকোর্টের কাছে জামিন চাওয়ার কারণ হলো, প্রসিকিউশন তার স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগের সাপেক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম। 

২০১৬ সালের ৫ জুন বন্দরনগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলের বাসস্টপে নিয়ে যাওয়ার সময় মিতুকে ছুরি মেরে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

গত বছরের ১১ মে চট্টগ্রাম পিবিআই বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে তলব করে। এ সময় বাবুল গোয়েন্দাদের সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন এবং তাকে পিবিআইয়ের হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরদিন মিতুর বাবা বাবুলকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাবুলকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে মিতুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, এক নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বাবুল তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

বাবুল আক্তারকে ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করে ওইদিনই আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। বাবুল আক্তার এখন কারাগারে আছেন।

Link copied!